মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

বিনোদন | EXCLUSIVE: ভাড়া বাড়িতেই থাকি! আলিশান বাংলো, বিদেশি গাড়ি, বাউন্সার দিয়ে স্টারডম হয় না: দেবশ্রী

শ্যামশ্রী সাহা | | Editor: উপালি মুখোপাধ্যায় ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৮ : ২৪


বরাবর পরিশ্রমে বিশ্বাসী। খুব ইচ্ছে, খলনায়িকা হবেন! পরিচালনায় আসবেন? ‘কেমিস্ট্রি মাসি’ দেবশ্রী রায়-এর জীবন উদযাপন জেনে নিলেন শ্যামশ্রী সাহা

প্রশ্ন: ‘কেমিস্ট্রি মাসি’কে কেমিস্ট্রি পড়তে হল?
দেবশ্রী: হ্যাঁ, অনেকদিন পর কেমিস্ট্রি পড়লাম। 

প্রশ্ন: কেমিস্ট্রি পছন্দের বিষয় ছিল?
দেবশ্রী: ওরে বাবা! কেমিস্ট্রিকে প্রচণ্ড ভয় পেতাম। কোনওদিন ভাল নম্বর পাইনি। সেইজন্য আবার কেমিস্ট্রি ফিরে এল জীবনে। ভগবান বললেন, তুই তো আগে কেমিস্ট্রি ভাল করে পড়িসনি। তোকে আবার সুযোগ দিলাম। মন দিয়ে পড়।

প্রশ্ন: নারীকেন্দ্রিক চরিত্র না সামাজিক বার্তা— সিরিজের কোন দিকটা ভাল লেগেছিল?
দেবশ্রী: সিরিজে খুব স্ট্রং মেসেজ আছে। ছেলেমেয়েদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার করব, এটা অনেক মা-বাবাই চান। কিন্তু ওরা কী পড়তে চায়, সেটা ভাবেন না। ওর ছেলে ডাক্তার তাই আমার সন্তানকেও ডাক্তার হতে হবে, এই প্রতিযোগিতায় নেমে যান। নামী প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর ইঁদুরদৌড়ে ছোটেন। এটা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই সিরিজে সেটা দেখানো হয়েছে। এর উল্টো দিকও আছে। সন্তানরাও মা-বাবাকে ব্ল্যাকমেল করে। এটা না দিলে আত্মহত্যা করব, এমন ভয়ও দেখায়। কোন বিষয়েই জোর করে কিছু হয় না। মা ছোটবেলায় আমাকে, দিদিকে নাচ শিখিয়েছেন। মা দেখেছিলেন আমি সিরিয়াস, আমি নাচ শিখতে পেরেছি। মার শখেই অভিনেত্রী হয়েছি। কিন্তু আমার মধ্যেও সেই ইচ্ছা বা চেষ্টা ছিল। তাই আমি সফল হতে পেরেছি। এই মেসেজটা সিরিজে আছে। 

প্রশ্ন: এই কারণেই রাজি হলেন?
দেবশ্রী: পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীকে বলেছিলাম, আমি পারব না। তারপর ভাবলাম, কেন না বলছি? দেবশ্রী রায় কোনও ব্যাপারে পিছুপা হয় না, চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। চেষ্টা করতে ক্ষতি কী? 

প্রশ্ন: ওয়েব সিরিজ নতুন মাধ্যম, কেমন লাগল?
দেবশ্রী: আমার তো ফিল্মের মতোই মনে হল। 
প্রশ্ন: সৌরভের পরিচালনা?
দেবশ্রী: খুব ভাল পরিচালক। খুব সিরিয়াস। ওকে বলেছি, তুমি কাজ নিয়ে সিরিয়াস, সেটা ভাল। কিন্তু ফ্লোরে অমন গম্ভীর হয়ে থেকো না একটু হেসো।(হাসি)

প্রশ্ন: এখন পরিচালনার ধারা অনেকটা বদলেছে?
দেবশ্রী: এখন তো কনসেপ্ট বেস। অ্যাপ্রোচটাও আলাদা। আগে দর্শক আলাদা ছিল, ফরম্যাট আলাদা ছিল। এখন উন্নত টেকনোলজি। সব মিলিয়ে অন্যরকম।

প্রশ্ন: তরুণ মজুমদার, ঋতুপর্ণ ঘোষকে কতটা মিস করেন?
দেবশ্রী: খুব মিস করি। তরুণদা আমার মেন্টর, গুরু। তরুণদা বলতেন, আমার তিন কন্যা— মৌসুমী, মহুয়া, দেবশ্রী। আমি ছোট মেয়ে। বলতেন, মরে গেলে তোরা আমার কাজ করবি। একজন তো পৃথিবীতে নেই। আমি কাজ করলাম। কাজের আগে সন্ধ্যাদিকেও ফোন করেছিলাম। উনি বলেছিলেন মা তোমার যেটা মন চায় তুমি সেটা কর। সন্ধ্যাদিও আমাকে অসম্ভব ভালবাসেন। এই ভালবাসা আমি মিস করি।

প্রশ্ন: মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আবার জুটিতে, ‘শাস্ত্রী’ ছবিতে…
দেবশ্রী: এই ছবির আগে পাঁচটা ছবির অফার ফিরিয়েছি। বিট্টু (সোহম)যখন ফোন করেছিল, না বলার জন্য রেডি ছিলাম। কিন্তু গল্পটা শোনার পর আর ‘না’ বলতে পারিনি। ছবিতে একটা বাণিজ্যিক দিক আছে। ফুটেজ কম হলেও চরিত্রটা খুব ভাল। মিঠুনদা আছেন। মিঠুনদা সেটে থাকলে আর কাউকে দরকার হয় না। কলকাতায় এলেই এয়ারপোর্ট থেকে ফোন করতেন। আমি আসছি, মাসিমাকে বল রান্না করতে। জানেন, মিঠুনদার মা ছেলের উন্নতির জন্য ছ’বছর মৌনব্রত রেখেছিলেন। মিঠুনদার পরিবার, আমরা একই গুরুর দীক্ষিত। এবারেও শুটে মিঠুনদার জন্য রান্না করে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাপ্পিদার (লাহিড়ী) চলে যাওয়াটাও মেনে নিতে পারিনি। ওরা আমাদের আত্মীয়। বাপ্পিদার মা আমার কাকিমার দিদি ছিলেন।

প্রশ্ন: মুম্বইয়ে আপনার এত কানেকশান, কাজ করলেন না কেন?
দেবশ্রী: কী জানেন তো, মুম্বই থেকে যখন ছবির অফার এল আমার হাতে তখন প্রচুর কাজ। মনে হয়েছিল, বাংলা ছবি ছেড়ে চলে গেলে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হবে। নায়িকার এত অভাব। বাংলা ছবিতে আমি সফল হয়েছি, আমার নাম হয়েছে, সেই জায়গা ছেড়ে কী করে চলে যাব! রানির (মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে একবার তাজ-এ গিয়েছিলাম। সেখানে যশ চোপড়া ছিলেন। উনি আমাকে বলেছিলেন, দেবশ্রী কেন তুমি মুম্বই আসছ না, প্রচুর কাজ আছে তোমার জন্য। আমার তখন অ্যানিম্যাল ফাউন্ডেশন ছিল, ছবির কাজ ছিল। সব ছেড়ে মুম্বই চলে যাওয়া সম্ভব ছিল না। অনিল কাপুর, রেখাজি, হেমাজি আমাকে খুব ভালবাসেন।

প্রশ্ন: এখনও কথা হয় ওঁদের সঙ্গে?
দেবশ্রী: হেমাজি কলকাতায় নাচের অনুষ্ঠান করতে এলে আমাকে ডাকেন। রেখাজি যখন কলকাতায় এসেছিলেন দেখা হয়েছিল। দিদিকে উনি বলেছিলেন, দেবশ্রী একজন পাওয়ারফুল অ্যাকট্রেস। 

প্রশ্ন: এখন মুম্বইয়ে যাওয়ার কথা ভাববেন?
দেবশ্রী: এখন শুধু ভাল কাজ নিয়ে ভাবি। যদি সুযোগ আসে নিশ্চয়ই যাব।

প্রশ্ন: নেগেটিভ ক্যারেক্টার এলে করবেন?
দেবশ্রী: খুব ইচ্ছে। আগে, নায়িকা মানে সে শুধুই নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করবে। এখন কনসেপ্ট বদলে গিয়েছে। যদি নেগেটিভ চরিত্রে কিছু করার থাকে নিশ্চয়ই করব। 

প্রশ্ন: নাচ, অভিনয়, রাজনীতি সব ছেড়ে দিয়েছিলেন, অভিমানে?
দেবশ্রী: আমি যখন যে কাজ করি খুব মন দিয়ে করি। ১০ বছর রাজনীতি করেছি মন দিয়ে। প্রমাণ করতে চেয়েছি, আমি একজন ভাল রাজনীতিক। সেই সময় অভিনয়কে অবহেলা করেছি। ভুল করেছি। মা নাচের স্কুল দেখতেন। মা চলে যাওয়ার পর মারাত্মক সেটব্যাক হয়েছিল। ইচ্ছে আছে স্কুলটা আবার শুরু করার। 



প্রশ্ন: পরিচালনা করার কথা ভাবছেন?
দেবশ্রী: আমার ড্রিম প্রোজেক্ট আছে। নিজে গল্প লিখেছি অ্যানিমাল ওয়ার্ল্ড নিয়ে। কেউ যদি এগিয়ে আসেন এই বিষয়ে ছবি পরিচালনা করব।

প্রশ্ন: আপনি তো পোষ্যদের নিয়ে কাজ করছেন, সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে ছবিও হয়েছে। ‘পারিয়া’ দেখলেন?
দেবশ্রী: তথাগত (মুখোপাধ্যায়) বলেছিল। পোষ্যদের উপর অত্যাচার দেখতে পারব না। ওদের এক ফোঁটা রক্ত সহ্য করতে পারব না। ‘চার্লি ট্রিপল সেভেন’ দেখে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। খুব কেঁদেছি। এতটাই বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলাম, ছবি শেষ হওয়ার পর হল থেকে বেরনোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। 

প্রশ্ন: জাতীয় পুরস্কার পাওয়া প্রথম সারির নায়িকা, অভিনয় থেকে দূরে। অবসাদ আসেনি?
দেবশ্রী: কেনও দিন না। আমি ডিপ্রেশন মানেটাই বুঝি না। এর মানে কী? এখনকার ছেলেমেয়েরা শুনি ডিপ্রেসনে চলে যায়। কেন বলুন তো? ঈশ্বর আমাদের পাঠিয়েছেন কাজ করতে। এত তাড়াতাড়ি হেরে যাবে কেন? কাজ নেই বলে অনেকেই শুনি আত্মহত্যা করছেন, কেন? আমি ফাইটার। হারতে শিখিনি। লড়তে ভালবাসি। জীবনে ওঠাপড়া আসবেই, তার মোকাবিলা করতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, একজনের ভাগ্য আর একজন কাড়তে পারে না। অন্য কারও মত নয়, নিজের মত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমি এখনও ভাড়া বাড়িতে থাকি। আমার আলিশান বাংলো বা বিদেশি গাড়ি নেই। বাউন্সার নিয়ে ঘুরি না। এসব দিয়ে স্টারডম তৈরি করা যায় না। শর্টকার্টে কিছু অর্জন করা যায় না। অভিনয় দিয়ে দর্শকের মণিকোঠায় পৌঁছেছি। মানুষের ভালবাসায় বেঁচে আছি।

প্রশ্ন: এখনকার পরিচালকদের মধ্যে কার কাজ ভাল লাগে?
দেবশ্রী: তাবড় তাবড় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি। অনেক শিখেছি। ওঁরাই আমার প্রতিষ্ঠান। অনেক পরিচালকের সফল হওয়ার পিছনে দেবশ্রী রায় আছে। এখন যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের সঙ্গে কাজ না করলে কী করে বুঝব! 

প্রশ্ন: আপনার আর তাপস পালের জুটি...
দেবশ্রী: (থামিয়ে দিয়ে) আর বলবেন না, ওকে যে কী মিস করি বলে বোঝাতে পারব না। ওর চলে যাওয়া এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। একসঙ্গে ৩০টা ছবি করেছি। যখন উত্তমকুমার চলে গেলেন, স্টুডিওতে তালা পড়ে গিয়েছিল। কোনও কাজ হচ্ছিল না। তাপস-দেবশ্রীর জুটি আবার দর্শককে সিনেমা হলে টেনে এনেছিল। ১০ বছর পর স্টুডিওর তালা খুলেছিল।

প্রশ্ন: চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আগামিদিনে দেখা যাবে? 
দেবশ্রী: (একটু থেমে) এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এখন আমার ফেভারিট স্টারের সঙ্গে কাজ করছি। মন দিয়ে সেটাই করতে চাই।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

শাহরুখ-সলমন-আমির তাঁর 'ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর'! কেন এত বড় কথা বললেন 'তুম্বাড়'-এর‌ নায়ক?...

‘শয্যাসঙ্গী হতে চাই’ বললেন মহিলা, শুনে অভিভূত আমির! তারপর কী করলেন ‘মিঃ পারফেকশনিস্ট’? ...

আলাপ থেকে বন্ধুত্ব হয়েই জমাট প্রেম! অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদের জল্পনার মাঝেই ফিরে দেখা যাক সেইসব ঘটনা ...

Breaking: বাংলা ভুলে ওড়িয়া ভাষায় কথা বলছেন জয়িতা! নতুন রূপে ধরা দেবেন কোন ধারাবাহিকে?...

মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে মধুমিতা! দুমড়ে মুচড়ে গেল গাড়ি, কেমন আছেন অভিনেত্রী?...

অব্যর্থ নিশানায় বাজিমাত করতে আসছে 'রাঙামতি'! শেষ হচ্ছে‌ কোন ধারাবাহিক?...

৩৫ লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে অভিনয় জগতে , তারপর? মায়ানগরীর সফর নিয়ে আর কী বললেন বিক্রান্ত ম্যাসি?...

২৭৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক! শাহরুখ-সলমন নন, এইমুহুর্তে দেশের সবথেকে 'দামী' তারকা কে জানেন?...

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলবেন কীভাবে? কোন ধরনের পুরুষদের থেকে দূরে থাকবেন? টিপস্ দিলেন অনন্যা পাণ্ডে...

'ইব্রাহিমের উচিত আমিরের কথা শোনা', কোন বিষয়ে নিজের থেকেও বেশি আমির খানের উপর ভরসা সইফের?...

‘ভুলভুলাইয়া ৩’র পর ফের একসঙ্গে কার্তিক-তৃপ্তি! কোন বাঙালি পরিচালকের ছবিতে জুটি বাঁধছেন? ...

তিন মাস গড়াতেই ঝাঁপ বন্ধ দেবচন্দ্রিমার হিন্দি ধারাবাহিকের, এবার কী সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী? ...

Exclusive: 'আমার জীবনের গল্প বলছে এই গান', এ আর রহমানের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত 'বহুরূপী'র সঙ্গীত পরিচাল...

বাবা হতে গেলে করতেই হবে এই কাজ! অক্ষয়ের উপর কোন কঠিন শর্ত চাপিয়েছিলেন টুইঙ্কেল?...

মেয়েকে বড় করতে কোন কঠোর নিয়ম মানবেন দীপিকা?ঐশ্বর্য, অনুষ্কার পথ অনুসরণ করে কী সিদ্ধান্ত নিলেন?...



সোশ্যাল মিডিয়া



02 24